পেশা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে মা-বাবার পছন্দ-অপছন্দের ওপর নির্ভর করতে
হয় অনেকে ছেলে-মেয়েকেই। কিন্তু এ বিষয়ে অভিভাবকদের ধ্যান-ধারণা অনেক
সময় সেকেলে হতে পারে। আর অনেক অভিভাবকই চান তাঁদের সন্তান প্রথাগত ও
নিরাপদ পেশায় থাকুক। কিন্তু হাল দুনিয়ার চাকরির বাজার এবং নিত্য-নতুন
সম্ভাবনা সম্পর্কে না জানার কারণে অভিভাবকদের এই দৃষ্টিভঙ্গি চাকরির বাজারে
ঢুকতে চাওয়া তরুণ-তরুণীদের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। যুক্তরাজ্যে
সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দেশটির এ বিষয়ক হালচাল তুলে
ধরেছে বিবিসি।
যুক্তরাজ্যের ‘অ্যাসোসিয়েশন অব কলেজেস’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশটির ৭০ ভাগ তরুণ-তরুণীই পেশা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করেন। প্রতিবেদনে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, ‘সঠিক ধারণা রাখেন না এমন অভিভাবকেরা সন্তানের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করে দিতে পারেন।’ স্থানীয় বাজার এবং বিকাশমান পেশাগত ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের পরামর্শ দিতে পেশা-পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ করা উচিত বলেও মন্তব্য করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
ব্যাপক পরিবর্তন চান শিক্ষার্থীরা
এ বছরের শুরুর দিকে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব কলেজেস’-এর আগের একটি গবেষণার ওপর ভিত্তি করে অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং পেশা-বিশেষজ্ঞদের বিশদ সাক্ষাত্কার নেন নতুন এ প্রতিবেদনটির রচয়িতারা। ইংল্যান্ডের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর ওপর জরিপ চালিয়ে তাঁরা দেখেতে পান, গড়ে মাত্র ৪৯ শতাংশ ছেলে-মেয়েরা চাকরির বাজার সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা রাখেন।
অ্যাসোসিয়েশন অব কলেজেস জানিয়েছে, তারা যেসব শিক্ষার্থীর সাক্ষাত্কার নিয়েছে, তাঁদের বড় অংশই চাকরিদাতাদের সঙ্গে আরও ভালো যোগসূত্র এবং পেশাগত পরামর্শের ক্ষেত্রে ‘ব্যাপক পরিবর্তন’ চায়। পাশাপাশি পেশাগত ক্ষেত্রগুলোতে বাস্তবিকই ‘ঘুরে দেখার’ সুযোগ এবং আরও বেশি সময় ধরে ‘কাজের অভিজ্ঞতা নেওয়ার’ সুযোগও চান তাঁরা। এ ছাড়া চাকরির বাজার সম্পর্কে স্থানীয় পর্যায়ে আরও বেশি তথ্য-উপাত্ত পেতেও আগ্রহী শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবেদনটির এক রচয়িতা বিবিসিকে বলেন, ‘সময়োপযোগী এবং বাস্তবসম্মত পরামর্শ দেওয়ার জন্য চাকরির বাজার সম্পর্কে আরও বেশি ওয়াকিবহাল থাকা অভিভাবক হিসেবে বড়দেরই কর্তব্য।
প্রয়োজন সরকারি দিকনির্দেশনা
যুক্তরাজ্যের শিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘চাকরিদাতাদের তিন-চতুর্থাংশই বলে থাকেন, কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটা খুবই জরুরি যে, স্কুলগুলো ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে বাস্তবের চাকরি ক্ষেত্রের যোগাযোগ ঘটাতে ভূমিকা রাখবে।’
এদিকে, দেশটির শিক্ষক এবং প্রভাষকদের সংগঠনের উপদেষ্টা আদ্রিয়ান প্রানডেল এ বিষয়ে সরকারি পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘চাকরির বিষয়ে যে মাত্রায় এবং যে ধরনের সহায়তা তারা পাচ্ছে, তাতে তরুণদের অসন্তুষ্ট হতে দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
একই সঙ্গে প্রানডেল বলেন, শিক্ষকেরাও মনে করেন যৌথভাবেই এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। সরকার এবং স্কুল-কলেজ, চাকরিদাতা ও চাকরিবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সবাইকে মিলে ব্যাপক পরিসরেই এ নিয়ে কাজ করতে হবে।
যুক্তরাজ্যের ‘অ্যাসোসিয়েশন অব কলেজেস’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশটির ৭০ ভাগ তরুণ-তরুণীই পেশা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করেন। প্রতিবেদনে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, ‘সঠিক ধারণা রাখেন না এমন অভিভাবকেরা সন্তানের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করে দিতে পারেন।’ স্থানীয় বাজার এবং বিকাশমান পেশাগত ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের পরামর্শ দিতে পেশা-পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ করা উচিত বলেও মন্তব্য করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
ব্যাপক পরিবর্তন চান শিক্ষার্থীরা
এ বছরের শুরুর দিকে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব কলেজেস’-এর আগের একটি গবেষণার ওপর ভিত্তি করে অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং পেশা-বিশেষজ্ঞদের বিশদ সাক্ষাত্কার নেন নতুন এ প্রতিবেদনটির রচয়িতারা। ইংল্যান্ডের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর ওপর জরিপ চালিয়ে তাঁরা দেখেতে পান, গড়ে মাত্র ৪৯ শতাংশ ছেলে-মেয়েরা চাকরির বাজার সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা রাখেন।
অ্যাসোসিয়েশন অব কলেজেস জানিয়েছে, তারা যেসব শিক্ষার্থীর সাক্ষাত্কার নিয়েছে, তাঁদের বড় অংশই চাকরিদাতাদের সঙ্গে আরও ভালো যোগসূত্র এবং পেশাগত পরামর্শের ক্ষেত্রে ‘ব্যাপক পরিবর্তন’ চায়। পাশাপাশি পেশাগত ক্ষেত্রগুলোতে বাস্তবিকই ‘ঘুরে দেখার’ সুযোগ এবং আরও বেশি সময় ধরে ‘কাজের অভিজ্ঞতা নেওয়ার’ সুযোগও চান তাঁরা। এ ছাড়া চাকরির বাজার সম্পর্কে স্থানীয় পর্যায়ে আরও বেশি তথ্য-উপাত্ত পেতেও আগ্রহী শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবেদনটির এক রচয়িতা বিবিসিকে বলেন, ‘সময়োপযোগী এবং বাস্তবসম্মত পরামর্শ দেওয়ার জন্য চাকরির বাজার সম্পর্কে আরও বেশি ওয়াকিবহাল থাকা অভিভাবক হিসেবে বড়দেরই কর্তব্য।
প্রয়োজন সরকারি দিকনির্দেশনা
যুক্তরাজ্যের শিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘চাকরিদাতাদের তিন-চতুর্থাংশই বলে থাকেন, কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটা খুবই জরুরি যে, স্কুলগুলো ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে বাস্তবের চাকরি ক্ষেত্রের যোগাযোগ ঘটাতে ভূমিকা রাখবে।’
এদিকে, দেশটির শিক্ষক এবং প্রভাষকদের সংগঠনের উপদেষ্টা আদ্রিয়ান প্রানডেল এ বিষয়ে সরকারি পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘চাকরির বিষয়ে যে মাত্রায় এবং যে ধরনের সহায়তা তারা পাচ্ছে, তাতে তরুণদের অসন্তুষ্ট হতে দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
একই সঙ্গে প্রানডেল বলেন, শিক্ষকেরাও মনে করেন যৌথভাবেই এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। সরকার এবং স্কুল-কলেজ, চাকরিদাতা ও চাকরিবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সবাইকে মিলে ব্যাপক পরিসরেই এ নিয়ে কাজ করতে হবে।
No comments:
Post a Comment